Thursday, July 14, 2016

নোয়াখালীতে মসজিদের ইমামকে নিজ কক্ষে গলা কেটে হত্যা!



 নোয়াখালী সদর উপজেলার কৃঞ্চরামপুর জামে মসিজদের ইমাম জহিরুল হককের (৫০) গলা কাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২ টায় মসজিদের পাশে ইমামের ঘর থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
জানা গেছে মসজিদের ইমাম জহিরুল হক মসাজিদের পাশের বাড়িতে স্বপরিবারে থাকতেন।
বৃহস্পতিবার রাত ১০ টার দিকে পরিবারের লোকজন তার রুমে গিয়ে গলাকাটা লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে রাত ১২ দিকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন।
নোয়াখালী পুলিশ সুপার ইলিয়াছ শরীফ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ময়নাতদন্ত রিপোর্ট এলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।

Wednesday, July 6, 2016

সাদারীতে ইসলামী সমাজ কল্যাণ পরিষদ ও পাঠাগারের উদ্দ্যোগে "অসহায় ও দুস্থ পরিবারদের মাঝে 'ঈদ সামগ্রী বিতরণ"

ওমর ফারুকঃ
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বেগমগঞ্জের ছয়ানী ইউনিয়নের "সাদারী ইসলামী সমাজ কল্যাণ
পরিষদ ও পাঠাগারের উদ্দ্যোগে দুস্থ ও গরীবদের মাঝে সেমাই চিনি ও ঈদ সামগ্রিক বিতরন করা হয়েছে। বুধবার  দুপুরে  ছয়ানী ইউনিয়নের সাদারী এলাকায় দুস্থ ও গরীবদের মাঝে সেমাই চিনি ও ঈদ সামগ্রিক  বিতরন করেন পাঠাগরের কতৃপক্ষ। এসময় উপস্থিত ছিলেন পাঠাগরের সহ- সেক্রেটারি  জনাব জাকের হোসাইন  ও কিশোর কন্ঠ পাঠক ফোরামের সদস্য জনাব রায়হান উদ্দিন রায়হান ও সাইফ উদ্দিন।
 এই সময় তারা ৫৫-৬০ টি পরিবারের মাঝে ঈদ সামগ্রিক বিতরণ করা হয়।

Monday, July 4, 2016

"ছয়ানী ইয়ুথ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে ঈদ পোশাক বিতরণ"


ওমর ফারুকঃ
(নোয়াখালী) :পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের ছয়ানী ইউনিয়নে দুস্থ ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে ঈদ পোশাক বিতরণ করা হয়।

সোমবার (৪ জুলাই) দুপুর ২ টায় ছয়ানী উচ্চ বিদ্যালয় অডিটোরিয়ামে অনলাইন ভিত্তিক সামাজিক সংগঠন "Chhayani Youth Foundation" এর উদ্যোগে এটি অনুষ্ঠিত হয়।

সংগঠনের সদস্য আরমান হোসাইন এর উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) প্যানেলভুক্ত রেফারী জনাব জসীম উদ্দিন।


এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সদস্য জালাল উদ্দিন মোহাম্মদ আকবর, এ.কে মিরাজ,দিদার হোসেন বাপ্পী,সহেল আহমেদ, টিপু সুলতান,জাবেদ ওমর,আরিফুল ইসলাম,ইনতিয়াজ নাহিদ,ইমাম উদ্দিন,ইউসুফ গিফারী,নজরুল ইসলাম মিঠু,তুহিন চৌধুরী, নাজিম,তারেক মাহমুদ,হিমেল,ওসমান,ফারহান,ওয়াদুদ সহ আরও অনেকেই।

অনুষ্ঠানে প্রায় ৫০ জন দুস্থ ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুর মাঝে ঈদের পোশাক বিতরণ করা হয়।

Saturday, July 2, 2016

সালাতুস তাসবিহ নামাজের গুরুত্ব ও পড়ার নিয়মাবলী জেনে নিন।

ওমর ফারুকঃ
যারা আল্লাহর প্রিয় বান্দা ছিলেন যাদের প্রতিটি পদক্ষেপ আল্লাহর হুকুম এবং নবীজীর সুন্নত মোতাবেক ছিল। তারা সত্যিই আল্লাহর দরবারে নিজেদের অপরাধী, গুনাহগার, জালেম মনে করতেন। গ্রহণ করতেন তারা গুনাহ মাফের কার্যকরী পন্থা। তাই তো হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাঃ প্রতি শুক্রবার এই নামাজ আদায় করতেন।
হজরত আবু জাওযা রহঃ অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে প্রতিদিন জোহরের আজানের পর জামাত শুরু হওয়ার আগে সালাতুত তাসবিহ পড়তেন।সালাতুত তাছবীহ অত্যম্ত ফযীলতপূর্ণ নামায। এই নামাযে তিন শতবার তাছবীহ পাঠ করা হয়, তাই এই নামাজকে সালাতুত তাছবীহ বলা হয়। হাদীসে আছে, এই নামায পড়লে আল্লাহ পাক, আপনার আগের-পাছের, পুরাতন-নতুন,ইচ্ছাকৃত-অনিচ্ছাকৃত, ছোট- বড়, গোপনে করা বা প্রকাশ্যে করা- যাবতীয় গুনাহ মাফ করে দিবেন। এই নামায সম্ভব হলে দৈনিক একবার, তা না হলেসপ্তাহে একবার, তা না হলে মাসে একবার, যদি তাও না হয় বছরে একবার পড়া উচিত। যদি এটাও সম্ভব না হয় তাহলে জীবনে একবার হলেও নামাযটা পড়ে নিবেন । বিখ্যাত ওলামায়ে কেরামদের মতে,বিপদ-আপদ এবং চিন্তার অবসানের জন্য সালাতুত তাছবীহের চেয়ে কার্যকরী আমল আর নেই।

#কিভাবে সালাতুল তাসবীহ পড়তে হয়?

***জাওয়াল, সুর্যাস্ত, সূর্যোদয় , নামায এর জন্য নিষিদ্ধ ও মাকরুহ সময় বাদে দিন অথবা রাতের যেকোন সময় একবারে চার রাকাত এ এই নামায আদায় করতে হয়। কিন্তু যোহরের আগে পড়াকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়।(ফাত্বয়াহ আলামগীন)
>>সালাতুল তাসবীহ তে যে তাসবীহ পড়তে হবেঃ"সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লাহি ওয়া লা ইলাহাইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার"
>>বিস্তারিত নিয়মঃনিম্নোক্ত উপায়ে পুরো চার রাকাত এ মোট ৩০০ বার উপর্যুক্ত তাসবীহ পড়তে হবে>
#১ম রাকাত এ সানা পড়ার পরে তাসবীহ টি ১৫ বার পড়তেহবে
#তারপর স্বাভাবিক নিয়মে সুরা ফাতিহা ও অন্য আরেকটি সুরা অথবা অন্তত তিন আয়াত পড়ার পরে তাসবীহটি ১০ বার পড়তে হবে ।
#এরপর রুকুতে গিয়ে রুকুর তাসবীহ পরার পরে তাসবীহ টি ১০ বার পড়তে হবে
#এরপর কিয়াম এ গিয়ে "রাব্বানা লাকাল হামদ" পড়ার পরে তাসবীহ টি ১০ বার পড়তে হবে ।
#এরপর সিজদায় গিয়ে সিজদার তাসবীহ পরে তাসবীহ টি ১০ বার পড়তে হবে ।
#প্রথম সিজদা থেকে বসে তাসবীহ টি ১০ বার পড়তে হবে ।
#এরপর আবার সিজদায় গিয়ে সিজদার তাসবীহ পরে তাসবীহ টি ১০ বার পড়তে হবে ।
#তারপর একই ভাবে ২য় রাকাত পড়তে হবে, কিন্তু ২য় রাকাত এ সুরা ফাতিহা পড়ার আগে তাসবীহ টি ১৫ বার পড়তে হবে ।
#অতপর ২য়রাকাত এর ২য় সিজদার পর"আত্তহিয়্যাতু...", দরুদ আর দোয়া পড়ার পরে সালাম নাফিরিয়ে , ১ম রাকাত এর মতো ৩য় রাকাত শুরু করতে হবে(তাসবীহ টি ১৫ বার পড়ে স্বাভাবিক নিয়মে সুরা ফাতিহা ও অন্য আরেকটি সুরা পড়তে হবে) একই প্রক্রিয়া পরবর্তী ২রাকাত শেষ করতে হবে।
[আবু দাউদ ও তিরমিযী]

জর্দান আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশি কিশোর হাফেজ তৃতীয়।

ওমর ফারুকঃ
পবিত্র রমজান মাসে মধ্যপ্রাচ্যের বেশকিছু দেশে আর্ন্তজাতিক হেফজুল কোরআন, কেরাত ও তাফসির প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এটা আরবীয় সংস্কৃতির রীতি বিশেষ। এরই ধারাবাহিকতায় জর্দানে অনুষ্ঠিত হলো আন্তর্জাতিক হেফজুল কোরআন প্রতিযোগিতা।
ওই প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন হাফেজ সোলাইমান হাওলাদার। ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের দ্বীনি দাওয়াত ও সংস্কৃতি বিভাগের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত বাছাই পরীক্ষায় দুই শতাধিক প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে জর্ডান যাওয়ার টিকিট লাভ করেন সোলায়মান।
প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে হাফেজ সোলাইমান হাওলাদার তৃতীয় স্থান অর্জন করেছেন।
জর্ডানের রাজধানী আম্মানে ৭০টি দেশের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে ২০ রমজান প্রতিযোগিতাটি শুরু হয়ে শেষ হয় ২৬ রমজান (০১ জুলাই)।
ভোলা জেলায় জন্ম নেওয়া হাফেজ সোলায়মানের বাবার নাম মো. আলমগীর হাওলাদার।
হাফেজ সোলাইমান হাওলাদার যাত্রাবাড়ীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদরাসার ছাত্র। এর আগে সে তুরস্ক ও মিসরে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হেফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে বিজয়ী হয়েছিল।