Saturday, August 6, 2016

"ছয়ানী উচ্চ বিদ্যালয়ের " শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারী ও শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে শেষ হলো জঙ্গিবাদবিরোধী মানববন্ধন।

ওমর ফারুকঃ ছয়ানী থেকে. 

ইসলামের সাথে জঙ্গীবাদের কোন সম্পর্ক নেই।
প্রধানমন্ত্রীর আহবানে সাড়া দিয়ে সন্ত্রাস জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করে বেগমগঞ্জের ছয়ানীতে  "
#ছবি তুলছেন তারেক হোসাইন ইফতি

"""'’''সম্প্রতি সন্ত্রাস নৈরাজ্য সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গি হামলার  প্রতিবাদে ছয়ানী বাজারের সব অলি গলিতে  মানববন্দনের আয়োজন করে স্কুল প্রশাসন।
আজ শনিবার বেলা ১২টা থেকে  ১২.৫০ মিনিট পর্যন্ত এই মানববন্ধন হয়।
#ছবি তুলছেন আরিফ হোসাইন 

 মানববন্ধনে  উপস্থিত ছিলেন  অত্র স্কুলের সভাপতি জনাব হারুনুর রশিদ, সদস্য জনাব নিজাম উদ্দিন চৌধুরী , ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জনাব মহি উদ্দিন,   প্রধান শিক্ষক জনাব আলমগীর সাহেব সহ সকল শিক্ষক বৃন্দ, এতে উপস্থিত ছিলেন Mohona Tv,  Ntv,  GTV সহ অন্যান্য  সাংবাদিক বৃন্দ।
#ছবি তুলছেন আল আমিন

আগত অতিথিবৃন্দ গন  শুধু আইন দিয়ে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস বন্ধ করা যাবে না, আমাদের সবাইকে পড়ায় মহল্লা হতে নিজ নিজ দায়িত্বে জঙ্গীবাদের বিপক্ষে দূর্গ গড়ে তুলুন।
#ছবি তুলছেন আরিফ হোসাইন 

পরে স্কুল মাঠে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার মাধ্যমে মানববন্ধন  শেষ হয়।
#ছবি তুলছেন আল আমিন

#ছবি তুলছেন আল আমিন

Thursday, July 14, 2016

নোয়াখালীতে মসজিদের ইমামকে নিজ কক্ষে গলা কেটে হত্যা!



 নোয়াখালী সদর উপজেলার কৃঞ্চরামপুর জামে মসিজদের ইমাম জহিরুল হককের (৫০) গলা কাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২ টায় মসজিদের পাশে ইমামের ঘর থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
জানা গেছে মসজিদের ইমাম জহিরুল হক মসাজিদের পাশের বাড়িতে স্বপরিবারে থাকতেন।
বৃহস্পতিবার রাত ১০ টার দিকে পরিবারের লোকজন তার রুমে গিয়ে গলাকাটা লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে রাত ১২ দিকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন।
নোয়াখালী পুলিশ সুপার ইলিয়াছ শরীফ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ময়নাতদন্ত রিপোর্ট এলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।

Wednesday, July 6, 2016

সাদারীতে ইসলামী সমাজ কল্যাণ পরিষদ ও পাঠাগারের উদ্দ্যোগে "অসহায় ও দুস্থ পরিবারদের মাঝে 'ঈদ সামগ্রী বিতরণ"

ওমর ফারুকঃ
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বেগমগঞ্জের ছয়ানী ইউনিয়নের "সাদারী ইসলামী সমাজ কল্যাণ
পরিষদ ও পাঠাগারের উদ্দ্যোগে দুস্থ ও গরীবদের মাঝে সেমাই চিনি ও ঈদ সামগ্রিক বিতরন করা হয়েছে। বুধবার  দুপুরে  ছয়ানী ইউনিয়নের সাদারী এলাকায় দুস্থ ও গরীবদের মাঝে সেমাই চিনি ও ঈদ সামগ্রিক  বিতরন করেন পাঠাগরের কতৃপক্ষ। এসময় উপস্থিত ছিলেন পাঠাগরের সহ- সেক্রেটারি  জনাব জাকের হোসাইন  ও কিশোর কন্ঠ পাঠক ফোরামের সদস্য জনাব রায়হান উদ্দিন রায়হান ও সাইফ উদ্দিন।
 এই সময় তারা ৫৫-৬০ টি পরিবারের মাঝে ঈদ সামগ্রিক বিতরণ করা হয়।

Monday, July 4, 2016

"ছয়ানী ইয়ুথ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে ঈদ পোশাক বিতরণ"


ওমর ফারুকঃ
(নোয়াখালী) :পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের ছয়ানী ইউনিয়নে দুস্থ ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে ঈদ পোশাক বিতরণ করা হয়।

সোমবার (৪ জুলাই) দুপুর ২ টায় ছয়ানী উচ্চ বিদ্যালয় অডিটোরিয়ামে অনলাইন ভিত্তিক সামাজিক সংগঠন "Chhayani Youth Foundation" এর উদ্যোগে এটি অনুষ্ঠিত হয়।

সংগঠনের সদস্য আরমান হোসাইন এর উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) প্যানেলভুক্ত রেফারী জনাব জসীম উদ্দিন।


এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সদস্য জালাল উদ্দিন মোহাম্মদ আকবর, এ.কে মিরাজ,দিদার হোসেন বাপ্পী,সহেল আহমেদ, টিপু সুলতান,জাবেদ ওমর,আরিফুল ইসলাম,ইনতিয়াজ নাহিদ,ইমাম উদ্দিন,ইউসুফ গিফারী,নজরুল ইসলাম মিঠু,তুহিন চৌধুরী, নাজিম,তারেক মাহমুদ,হিমেল,ওসমান,ফারহান,ওয়াদুদ সহ আরও অনেকেই।

অনুষ্ঠানে প্রায় ৫০ জন দুস্থ ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুর মাঝে ঈদের পোশাক বিতরণ করা হয়।

Saturday, July 2, 2016

সালাতুস তাসবিহ নামাজের গুরুত্ব ও পড়ার নিয়মাবলী জেনে নিন।

ওমর ফারুকঃ
যারা আল্লাহর প্রিয় বান্দা ছিলেন যাদের প্রতিটি পদক্ষেপ আল্লাহর হুকুম এবং নবীজীর সুন্নত মোতাবেক ছিল। তারা সত্যিই আল্লাহর দরবারে নিজেদের অপরাধী, গুনাহগার, জালেম মনে করতেন। গ্রহণ করতেন তারা গুনাহ মাফের কার্যকরী পন্থা। তাই তো হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাঃ প্রতি শুক্রবার এই নামাজ আদায় করতেন।
হজরত আবু জাওযা রহঃ অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে প্রতিদিন জোহরের আজানের পর জামাত শুরু হওয়ার আগে সালাতুত তাসবিহ পড়তেন।সালাতুত তাছবীহ অত্যম্ত ফযীলতপূর্ণ নামায। এই নামাযে তিন শতবার তাছবীহ পাঠ করা হয়, তাই এই নামাজকে সালাতুত তাছবীহ বলা হয়। হাদীসে আছে, এই নামায পড়লে আল্লাহ পাক, আপনার আগের-পাছের, পুরাতন-নতুন,ইচ্ছাকৃত-অনিচ্ছাকৃত, ছোট- বড়, গোপনে করা বা প্রকাশ্যে করা- যাবতীয় গুনাহ মাফ করে দিবেন। এই নামায সম্ভব হলে দৈনিক একবার, তা না হলেসপ্তাহে একবার, তা না হলে মাসে একবার, যদি তাও না হয় বছরে একবার পড়া উচিত। যদি এটাও সম্ভব না হয় তাহলে জীবনে একবার হলেও নামাযটা পড়ে নিবেন । বিখ্যাত ওলামায়ে কেরামদের মতে,বিপদ-আপদ এবং চিন্তার অবসানের জন্য সালাতুত তাছবীহের চেয়ে কার্যকরী আমল আর নেই।

#কিভাবে সালাতুল তাসবীহ পড়তে হয়?

***জাওয়াল, সুর্যাস্ত, সূর্যোদয় , নামায এর জন্য নিষিদ্ধ ও মাকরুহ সময় বাদে দিন অথবা রাতের যেকোন সময় একবারে চার রাকাত এ এই নামায আদায় করতে হয়। কিন্তু যোহরের আগে পড়াকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়।(ফাত্বয়াহ আলামগীন)
>>সালাতুল তাসবীহ তে যে তাসবীহ পড়তে হবেঃ"সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লাহি ওয়া লা ইলাহাইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার"
>>বিস্তারিত নিয়মঃনিম্নোক্ত উপায়ে পুরো চার রাকাত এ মোট ৩০০ বার উপর্যুক্ত তাসবীহ পড়তে হবে>
#১ম রাকাত এ সানা পড়ার পরে তাসবীহ টি ১৫ বার পড়তেহবে
#তারপর স্বাভাবিক নিয়মে সুরা ফাতিহা ও অন্য আরেকটি সুরা অথবা অন্তত তিন আয়াত পড়ার পরে তাসবীহটি ১০ বার পড়তে হবে ।
#এরপর রুকুতে গিয়ে রুকুর তাসবীহ পরার পরে তাসবীহ টি ১০ বার পড়তে হবে
#এরপর কিয়াম এ গিয়ে "রাব্বানা লাকাল হামদ" পড়ার পরে তাসবীহ টি ১০ বার পড়তে হবে ।
#এরপর সিজদায় গিয়ে সিজদার তাসবীহ পরে তাসবীহ টি ১০ বার পড়তে হবে ।
#প্রথম সিজদা থেকে বসে তাসবীহ টি ১০ বার পড়তে হবে ।
#এরপর আবার সিজদায় গিয়ে সিজদার তাসবীহ পরে তাসবীহ টি ১০ বার পড়তে হবে ।
#তারপর একই ভাবে ২য় রাকাত পড়তে হবে, কিন্তু ২য় রাকাত এ সুরা ফাতিহা পড়ার আগে তাসবীহ টি ১৫ বার পড়তে হবে ।
#অতপর ২য়রাকাত এর ২য় সিজদার পর"আত্তহিয়্যাতু...", দরুদ আর দোয়া পড়ার পরে সালাম নাফিরিয়ে , ১ম রাকাত এর মতো ৩য় রাকাত শুরু করতে হবে(তাসবীহ টি ১৫ বার পড়ে স্বাভাবিক নিয়মে সুরা ফাতিহা ও অন্য আরেকটি সুরা পড়তে হবে) একই প্রক্রিয়া পরবর্তী ২রাকাত শেষ করতে হবে।
[আবু দাউদ ও তিরমিযী]

জর্দান আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশি কিশোর হাফেজ তৃতীয়।

ওমর ফারুকঃ
পবিত্র রমজান মাসে মধ্যপ্রাচ্যের বেশকিছু দেশে আর্ন্তজাতিক হেফজুল কোরআন, কেরাত ও তাফসির প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এটা আরবীয় সংস্কৃতির রীতি বিশেষ। এরই ধারাবাহিকতায় জর্দানে অনুষ্ঠিত হলো আন্তর্জাতিক হেফজুল কোরআন প্রতিযোগিতা।
ওই প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন হাফেজ সোলাইমান হাওলাদার। ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের দ্বীনি দাওয়াত ও সংস্কৃতি বিভাগের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত বাছাই পরীক্ষায় দুই শতাধিক প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে জর্ডান যাওয়ার টিকিট লাভ করেন সোলায়মান।
প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে হাফেজ সোলাইমান হাওলাদার তৃতীয় স্থান অর্জন করেছেন।
জর্ডানের রাজধানী আম্মানে ৭০টি দেশের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে ২০ রমজান প্রতিযোগিতাটি শুরু হয়ে শেষ হয় ২৬ রমজান (০১ জুলাই)।
ভোলা জেলায় জন্ম নেওয়া হাফেজ সোলায়মানের বাবার নাম মো. আলমগীর হাওলাদার।
হাফেজ সোলাইমান হাওলাদার যাত্রাবাড়ীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদরাসার ছাত্র। এর আগে সে তুরস্ক ও মিসরে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হেফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে বিজয়ী হয়েছিল।

Wednesday, June 29, 2016

আম দুধের শরবত (ম্যাংগো শেক)

ওমর ফারুকঃ
সারা দিন রোজা রাখার পর এক গ্রাস ঠান্ডা পানীয় কেমন ভাল লাগে তা আশা করি এই গরমে বিশদ ব্যাখ্যা করার নাই। খুব সাধারন একটা ঠান্ডা পানীয়ের রেসিপি আজ আপনাদের দেখিয়ে দেব, যাকে আপনারা মিল্ক বা মাঙ্গো শেক বলতে পারেন। আমি বাংলা ভাষায় বলবো, আম দুধের শরবত।আপনি যদি একজন পুরুষ হয়ে থাকেন এবং ইফতারিতে বাসায় আছেন কিন্তু শুয়ে বসে সময় কাটাচ্ছেন তা কিন্তু চলে না। আপনার আম্মা, বোন, স্ত্রী, বা কন্যা কাজ করছে আর আপনি টিভি দেখে কিংবা নিউজ পেপার পড়ে সময় কাটাচ্ছেন তা ঠিক নয়। ইফতারে ছোট ছোট কাজ আছে যা করে দিলে আপনার প্রিয় এই মানুষ গুলোর কষ্ট কিছুটা কমবে এবং সবাই আপনাকেও ভাল চোখে দেখবে।চলুন আজকে আপনি শরবত বানাবেন! ঘরে আম এবং দুধ আছে কিংবা না থাকলে এখুনি নিয়ে আসুন! ফ্রীজে কিছু ঠান্ডা পানি রাখুন।উপকরনঃ(পরিমান আর কি বলবো)– আম– দুধ (জ্বাল দেয়া)– চিনি (ইচ্ছানুসারে দেয়া যেতে পারে)– পানিপ্রনালীঃ
আম ছিলে টুকরা করে নিন। দুধ গরম করে ঠান্ডা করে নিন।
এবার আম দুধ মিশিয়ে নিন।
আম দুধের ঘ্রান মিশ্র ঘান নিয়েছেন কখনো? আহ…
সামান্য পানি মিশিয়ে ভাল করে গ্রাইড করে নিন। এবং জগে ভরে ফ্রীজে রেখে দিন।ইফতারে এমন ঠান্ডা পানীয় নিয়ে গ্লাসে সার্ভ করুন। চিনি টেবিলে রাখুন, যাদের দরকার তারা নিয়ে মিশিয়ে খাবে। বুড়ো কিংবা ডাইবেটিক্স রোগীদের জন্য নিদিষ্ট চিনি ব্যবহার করুন।
মনে রাখুন আপনার বানানো এমন এক গ্লাস পানীয় আপনাকে আপনারপরিবারে অনেক বড় সন্মানের আসনে নিয়ে যাবে। সবাই বুঝবে আপনি তাদের কত ভালবাসেন।সুতারাং দেরী কিসের। চলুন, এখুনি!

Tuesday, June 28, 2016

অপারেশনের পর কেমন আছে সেই ‘বৃক্ষমানব’ আবুল বাজানদার।

২৮-৬-২০১৬
ওমর ফারুক:
চার মাস আগে খুলনার পাইকগাছা থেকে ঢাকায় আসেন দিনমজুর আবুল বাজানদার। হতদরিদ্র এই লোকটি গত ১০ বছর ধরে দুঃসহ জীবন কাটাচ্ছিলেন। এক বিরল রোগে আক্রান্ত হওয়ায় তার দুই হাত থেকে যেন গাছেরশিকড় বের হয়েছে। তার এ রোগের বিষয়টি আলোচিত হলে সারাদেশে ‘বৃক্ষমানব’ বলেই পরিচিত হন তিনি। তখন তার চোখে মুখে ছিল উদ্বেগ আর আতঙ্কের ছাপ।
কিন্তু চার মাস পরে সে পরিস্থিতি অনেকটাই কাটিয়ে উঠে এখন তিনি আত্মবিশ্বাসী। নিজের পরিপূর্ণ সুস্থতার জন্য এখন তিনি আশাবাদী। তিনিবলেন, আল্লাহর রহমতে আমি আবার সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে চলতে-ফিরতে পারব।ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন আবুল বাজানদারের দু’হাত এবং দু’পা মোটা ব্যান্ডেজ দিয়ে মোড়ানো। হাত-পায়ে শেকড়ের মতো গজিয়ে উঠা বিরল এক রোগের চিকিৎসা দিতে তাকে দফায় –দফায় অস্ত্রোপচার করা হয়েছে।গত চার মাসে আবুল বাজনদারের হাতে এবং পায়ে মোট ছয়টি অপারেশন হয়েছে। এখন মোটা ব্যান্ডেজ খুলেতাকে নিয়মিত ড্রেসিং করানো হয়। দফায়-দফায় অস্ত্রোপচার করা হলেও তার হাত-পা এখনো কর্মক্ষম হয়নি। খাওয়া-দাওয়া থেকে শুরু করে সব কিছুতে তাকে অন্যের ওপর নির্ভর করতে হয়। তাই পাশেই থাকেন তার মা আমেনা বিবি।
আবুল বাজানদারের চিকিৎসক দলের অন্যতম ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, আমরা প্রথম দিকে তো তার আঙুলগুলো ইডেন্টিফাই (চিহ্নিত) করতে পারতাম না।কোনটা বুড়ো আঙুল, কানিয়া আঙুল। অপারেশনের মাধ্যমে আমরা তার আঙুলগুলো আলাদা করতে পেরেছি। তিনি মনে করেন আর কয়েক দফা অস্ত্রোপচারের পর বাজানদার হাত দিয়ে খেতে পারবেন।খুলনার পাইকগাছা পৌর সদরে ৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মানিক বাজানদারের ছেলে আবুল বাজানদার। ২০০৫ সালে আবুল বাজানদারের দেহে প্রথম এ রোগ দেখা দেয়। তখন তার বয়স ১৫ বছর। ভ্যানচালিয়ে সংসার চালাতেন আবুল বাজানদার। এক সময় তার হাতে ও পায়ে আঁচিলের মতো দেখা দেয়। সে আঁচিল ১০ বছরে ধীরে ধীরে ‘শিকড়ে’ রূপ নেয়। তার দুই পায়ের কিছু অংশেও এ রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। রোগাক্রান্ত শরীরেই আবুল বাজানদার ৫ বছর আগে বিয়ে করেন। তার তিন বছরের একটি মেয়ে রয়েছে।

Monday, June 27, 2016

ছয়ানীতে BKS YOUTH UNITY এর উদ্যোগে ইফতার মাহফিল সম্পন্ন।

ওমর ফারুকঃ

বেগমগঞ্জের ছয়ানীতে BKS YOUTH UNITY (বৃহত্তর ব্যাপারী বাড়ির) উদ্যোগে আজ সন্ধায় ছয়ানী লক্ষণপুর  ব্যাপারী  বাড়ির বাইতুল মামুর জামে মসজিদে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
ইফতারের আগে বৃহত্তর ব্যাপারী গোষ্ঠীর  ও জাতির ঐক্য ও মঙ্গল কামনা করে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন ছয়ানী ইমামিয়া ফাযিল মাদ্রাসার
ভাইস প্রিন্সিপ্যাল মাওলানা মাঈন উদ্দিন খন্দকার  সাহেব।মাওলানা আবদুস সোবহান সাহেব, 
ইফতারের আগে আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন BKS এর সদস্য  নোয়াখালী সরকারী মহিলা কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রভাষক  জনাব নুরুল হুদা সোহাগ, ছয়ানী প্রাইমারী স্কুলের সাবেক সুনাম ধন্য শিক্ষক জনাব মাষ্টার জয়নাল আবদীন, ব্যাপারী বাড়ির কৃতিসন্তান  বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ মাওলানা আবদুর রহিম,
এতে  বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রায় ২ শতাধিক মানুষ ইফতারে অংশ নেন।

Sunday, June 26, 2016

মাথাব্যাথা দুর করুন মাত্র ৩০ সেকেন্ডেই! দেখুন পুরো প্রক্রিয়া।

২৬-৬-২০১৬
ওমর ফারুকঃ
আমাদের অনেকেরই প্রায়ই মাথাব্যথা হয়। অনেকেই আবার নানা করণে টেনশনে থাকি। এই খারাপ লাগার অনুভূতিগুলো সত্যিই খুব যন্ত্রণা দেয় আমাদের।ওষুধ খেলে এগুলো থেকে মুক্তি পাওয়া যায়, কিন্তু সেজন্য অনেক সময় লাগে।যদি এমন হয় মাত্র ৩০ সেকেন্ডে এই দুঃসহ যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়, তাও আবার কোনো ওষুধ ছাড়াই। অসম্ভব মনে হচ্ছে? একদমই না বন্ধুরা। এটা সম্ভব। আমরা অনেকেই জানি, ব্যথা ও রোগ নিরাময় করার জন্য ব্যবহৃত প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতি হচ্ছে আকুথেরাপি। মানবদেহের রোগ নির্ণয়, রোগ নিরাময় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ব্যবহার করা হয় আকুথেরাপি।
শরীরে সুচের মতো চাপ প্রয়োগ করে আকুথেরাপি দেওয়া হয়। কিন্তু ভয় পাবেন না, আপনার মাথাব্যথা আর টেনশন থেকে মুক্তি পেতে মাথায় সুই ফোটাতে হবে না।মাত্র ৩০ সেকেন্ড বাম হাতের পয়েন্টে ডান হাতেরআঙ্গুল দিয়ে ছবির মতো চাপ দিয়ে ধরে রাখুন।আর মুহূর্তেই অনুভব করুন মাথাব্যথা কোথায় পালিয়েছে, আর দুশ্চিন্তাও উধাও!

পথশিশুদের নিয়ে প্রচেষ্টা ফাউন্ডেশনের ‘ঈদ উৎসব’

২৬/৬/২০১৬ 
ওমর ফারুক ঃ
ঢাকা:রাস্তায় বেড়ে ওঠা তাদের। বছরের অন্যান্য দিনের মত ঈদের দিনটি কাটে তাদেরস্বাভাবিক দিনের মত। বাবা মা থাকলেও তাদের সামর্থ নেই নতুন জামা কাপড় কিনে দেয়ার। সমাজে এমন ঘটনা একটি দুটি নয়। দরিদ্র- পথশিশু বলে কি তারা ঈদে নতুন জামা পড়বে না ?ঈদ মানে শুধু নিজের আনন্দ নয়, ঈদ মানে সকলের আনন্দ। সেই আনন্দের একটি পরশ ছড়ানোর প্রয়াস চালিয়েছেন প্রচেষ্টা ফাউন্ডেশন নামের একটি সংগঠন

শুক্রবার রাজধানীর সাত মসজিদ রোডের সেলিব্রেশন কনভেনশন হলে পথশিশুদের জন্য আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে শিশুদের মুখে সেই বর্ণিল হাসি ফুটিয়েতুলেছেন এ সংগঠনটি।
অনুষ্ঠানে ১৫০ জন পথশিশুর মধ্যে ঈদের নতুন জামাকাপড় ছাড়াও শিশুদের হাতে তুলে দেওয়া হয় দুধ, সেমাই ও চিনি। তালিকা থেকে বাদ পরেনি শিশুদের অতি পছন্দের চকলেটও। মেয়ে শিশুদের জন্য ছিল প্রসাধনী সামগ্রীও। মেহেদির রঙে শিশুদের হাত রাঙিয়ে দেয়া হয় সকলের।ঈদ উৎসব ও ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন আবদুর নূর তুষার ও কৌতুক অভিনেতা টেলি সামাদ। এছাড়া সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ডোনার, সদস্য ও শুভাকাঙ্খীদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠে অনুষ্ঠান স্থল।
আয়োজন প্রসঙ্গে প্রচেষ্টা ফাউন্ডেশনের কো ফাউন্ডার পাভেল বাবু বলেন, টানা চতুর্থবারের মতো পথশিশুদের জন্য আমরা ঈদ উৎসবের আয়োজন করেছি। ১৫০ জন শিশুকে নতুন জামা উপহার দেওয়া হয়েছে। ছেলেদের জন্য শার্ট ও প্যান্ট এবং মেয়েদেরকে ফ্রগ দেওয়া হয়েছে। পরিবারের সঙ্গে ওরা যেন ঈদের আনন্দের পুরোটাই ভাগ করে নিতে পারে সেজন্য দেওয়া হয়েছে দুধ, চিনি ও সেমাই। আর ওদের জন্য আমাদের স্পেশাল গিফট ছিল চকলেট।হাসি, খুশি ও আরিফসহ মোট ১৫০ জন পথশিশুর মুখে হাসি ফোটাতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত প্রচেষ্টিয়ান সদস্যরা।

 June 26, 2016
হযরত ওমর ও হযরত আয়শা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিস। তারা বলেন, রাসহৃল (সা.) রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ করতেন। নবীজীর (সা.) ইন্তেকালের পর তার স্ত্রীগণ ইতিকাফ করতেন। (বুখারী)
আরবি ‘ইতিকাফ’ শব্দের অর্থ অবস্থান করা, বসা, বিশ্রাম করা, সাধনা করা, ধ্যান করা ইত্যাদি। রমজানের ২১তম রাত হতে ২৯তম রাত পর্যন্ত সাংসারিক যাবতীয় ঝামেলা হতে মুক্ত হয়ে মসজিদে ইবাদতের উদ্দেশ্যে অবস্থান করাকে ইতিকাফ বলে। রমজানের শেষ ১০ দিন মসজিদে ইতিকাফ করা সুন্নাতে মুয়াক্কাদা-ই-কিফায়া। মহল্লার কোনো একজন ব্যক্তি ইতিকাফ পালন করলে সবার পক্ষ হতে আদায় হয়ে যায়। কেউ যদি ইতিকাফ না করেন তবে সবাই সুন্নাত ত্যাগের জন্য দায়ী থাকবে। প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মদ (সা.) পবিত্র মাহে রমজানের শেষ ১০ দিন ইতিকাফ করতেন।
মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি রমজান মাসের শেষ ১০ দিন ইতিকাফ করবে, সে ব্যক্তি দুটি হজ ও দুটি ওমরাহর সমান সওয়াব হাসিল করবে।’ (বায়হাকি) মহানবী (সা.) আরো বলেন, ‘যে ব্যক্তি ইবাদতের নিয়তে সওয়াবের আশায় ইতিকাফ করবেন তার যাবতীয় গুনাহ মাফ হয়ে যায়।’ (দায়লামী)
রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি সারাজীবনে একদিন হলেও ইতিকাফ করবেন, কিয়ামতের দিন দোজখ তার কাছ থেকে ১৫শ’ বছর পথ দূরে থাকবে।’
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য : ইতিকাফের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো, ‘লাইলাতুল কদর’ অনুসন্ধান করা। যে ব্যক্তি পবিত্র মাহে রমজানের শেষ ১০দিন ইতিকাফ করবেন, তিনি নিশ্চয়ই ‘লাইলাতুল কদরের’ ফজিলত লাভ করবেনই।
ইতিকাফের প্রকারভেদ : ইতিকাফ ৩ প্রকার। যথা-
 ১. ওয়াজিব ইতিকাফ,
২. সুন্নাতে মুয়াক্কাদা,
৩. নফল ইতিকাফ।
ওয়াজিব ইতিকাফ : যা মানত করার কারণে ওয়াজিব হয়। সে ইতিকাফ অবশ্যই পালন করতে হবে।
সুন্নাাতে মুয়াক্কাদা : যা মাহে রমজানে (লাইলাতুল কদরের সওয়াব অর্জনের জন্য) শেষ ১০ দিন করা হয়। যা আমাদের প্রিয়নবী (সা.) এবং সাহাবায়ে কেরামগণ করেছেন। বর্তমানে সারা বিশ্বের বিশেষ করে প্রায় সব মসজিদের সম্মানিত খতিব ও ইমাম সাহেবরা করে থাকেন। এই ইতিকাফ কিয়ামত পর্যন্ত চলতে থাকবে।
নফল : নফল ইতিকাফের কোনো নির্ধারিত সময় নেই। যে কোনো মাসের যে কোনো দিনের যে কোনো সময় তা করা যায়। আর এই ইতিকাফকেই নফল ইতিকাফ বলে।
ইতিকাফের শর্ত : ইতিকাফের শর্ত ৩টি। যথা-
১. যে কোনো মসজিদে নিয়মিত জামাতের সঙ্গে নামাজ আদায় করা হয়, এরূপ কোনো মসজিদে পুরুষদের অবস্থান করতে হবে। মহিলারা আপন ঘরে পর্দার সঙ্গে ইতিকাফ করবে।
২. ইতিকাফের নিয়তে ইতিকাফ করতে হবে। কারণ বিনা নিয়তে ইতিকাফ হয় না।
৩. ইতিকাফকারীকে সর্বদা পাক-পবিত্র থাকতে হবে।
ইতিকাফের নিয়ত : ইতিকাফের জন্য মসজিদে প্রবেশের সময় নিয়ত করে নিতে হয়। নিয়ত : ‘নাওয়াইতু আন সুন্নাতুল ইতিকাফ-মাদুমতু হাজাল মাসজিদ।’ এই নিয়ত করে মসজিদে প্রবেশ করে এক কোণে বিছানা বিছাতে হবে। যাতে নামাজী মুসল্লিদের যাতায়াত বা নামাজে কোনো ব্যাঘাত না ঘটে।
ইতিকাফে করণীয় : ইতিকাফ অবস্থায় করণীয় হচ্ছে- ১. বেশি বেশি আল্লাহর জিকির-আজকার করা,
২. নফল নামাজ আদায় করা,
৩. কোরআন তেলাওয়াত করা,
৪. দ্বীনি ওয়াজ-নসিহত শোনা ও
৫. ধর্মীয় গ্রন্থাবলী পাঠ করা।
ইতিকাফে বর্জনীয় : ইতিকাফ অবস্থায় যেসব কাজ বর্জনীয়-
১. ইতিকাফ অবস্থায় বিনা ওজরে মসজিদের বাইরে যাওয়া,
২. দুনিয়াবি আলোচনায় মগ্ন হওয়া,
৩. কোনো জিনিস বেচাকেনা করা,
 ৪. ব্যবসা-বাণিজ্যের হিসাব-নিকাশ করা,
 ৫. ওজরবশত বাইরে গিয়ে প্রয়োজনাতিরিক্ত বিলম্ব করা ও
৬. স্ত্রীর সঙ্গে সহবাস করা। এসব কাজ করলে ইতিকাফ ভঙ্গ হয়ে যায়।
মহিলাদের ইতিকাফ : পুরুষ যেমনভাবে মসজিদে ইতিকাফ করবে তেমনি মহিলারাও তাদের নিজ নিজ গৃহে ইতিকাফ করবে। নারীদের জন্য ইতিকাফ জায়েজ ও বৈধ। তবে ইসলামের প্রথম যুগে মহিলারা যেমন অবাধে মসজিদে ইতিকাফ করতেন, বর্তমান সময়ে ফেতনার আশঙ্কায় তা জায়েজ নয়। বরং মহিলারা ঘরে নিজ কক্ষে ইতিকাফ করবে।
হযরত ওমর ও হযরত আয়শা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিস। তারা বলেন, রাসহৃল (সা.) রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ করতেন। নবীজীর (সা.) ইন্তেকালের পর তার স্ত্রীগণ ইতিকাফ করতেন। (বুখারী)

Saturday, June 25, 2016

অবসরের কথা জানিয়ে দিলেন সাকিব! (ওমর ফারুক)

স্পোর্টস ডেস্ক:২০০৬ সালের ৬ অগাস্ট নিজের ক্রিকেট ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন সাকিব আল হাসান। এ বছর ১০ বছরের ক্রিকেট ক্যারিয়ার পূর্ণ করবেন সাকিব। এ ১০ বছরে তার সাফল্য কম নায়। বর্তমান সময়ের অন্যতম বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আর কত বছর থাকবেন বাইশ গজে? তবে সাকিব মনে করেন সম্ভবত আরো ছয়-সাত বছর খেলা চালিয়ে যাবেন তিনি।সম্প্রতি বাংলাদেশের ইংরেজি সংবাদমাধ্যম দ্য ডেইলি স্টারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সাকিব আল হাসান বলেন, ‘আসলে এটাই আমার জন্য খেলার সময়। আমিভালো ফর্মে থাকলে সম্ভবত আরো ছয় থেকে সাত বছর খেলব। মূলত এখন আমি যত খেলব তত আমি উন্নতি করব।’সাকিব আরও বলেন, ‘ক্রিকেটই সবকিছু। আয়ের উৎস, আমার ভালোবাসা, আমার জীবনের অংশ। তাই খেলে আপনি কখনো ক্লান্ত হবেন না বা আপনার খারাপ লাগবে না। হ্যাঁ, আমি হয়তো শারীরিকভাবে ক্লান্ত হয়ে পড়ব। কিন্তু মানসিকভাবে দুর্বল হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’ছ’-সাত বছর পর ক্যারিয়ার শেষ করলে নিজেকে কোথায় দেখতে চান এমন প্রশ্নের জবাবে সাকিব আল হাসান বলেন, ‘আমি মনে করি আমি যদি কোনো লক্ষ্য ঠিক করি তাহলে কঠিন হয়ে যাবে। আলহামদুলিল্লাহ, এখন পর্যন্ত যা হচ্ছে ভালো হচ্ছে। আমি এটিকে আরো ভালো করতে চেষ্টা করব। আমি শেষ করার আগে আমার দলকে একটা ভালো জায়গায় দেখতে পারলে আমার খুব ভাললাগে। ২০১৫ সাল আমাদের জন্য দারুণ ছিল। আমরা যদিতা আরো কয়েকবছর ধরে রাখতে পারি এবং আমরা ভালো ফর্মে থাকি তাহলে ২০১৯ বিশ্বকাপে আমাদের দারুণ একটা সুযোগ থাকএ বলে মনে হচ্ছে।’ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ২০১৯ বিশ্বকাপে যে সাকিব আল হাসানকে পাওয়া যাচ্ছে তা নিয়ে সন্দেহ রইলো না। সাকিব আল হাসানের এমন কথায় বোঝাযাচ্ছে ২০২২ কিংবা ২০২৩ সালের আগে ক্রিকেট ছাড়ার কথা ভাবছেন না সাকিব। ২০২৩ সালে ভারতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বিশ্বকাপেও খেলতে পারেন তিনি। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের জার্সি গায়ে তিনটি বিশ্বকাপ খেলছেন সাকিব।

পবিত্র যাকাত কাদের উপর ফরয? ( ওমর ফারুক)

সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে অন্যতম মালী ইবাদত হলো পবিত্র যাকাত আর সেই পবিত্র যাকাত কাদের উপর ফরয? কাকে যাকাত দেয়া মহাসম্মানিত শরীয়ত অনুমোদন করেছে সেটা জানা দরকার, তাই সেই ফায়সালাও মহাসম্মানিত শরীয়ত দিয়ে দিয়েছেন, যারা মালিকে নিছাব বা ছাহিবে নিছাব, তাদের উপর পবিত্র যাকাত ফরয। আর মালিকে নিছাব বা ছাহিবে নিছাব বলতেবুঝায়। যে মুসলমান স্বাধীন, বালেগ বা বালেগার নিকট নিত্য প্রয়োজনীয় আসবাব পত্র, মাল সামানা বাদদিয়ে কর্জ ব্যতীত নিজ মালিকানাধীন সাড়ে সাত ভরি স্বর্ণ অথবা সাড়ে বায়ান্ন ভরি রৌপ্য বা তার সমপরিমাণ মূল্য পূর্ণ এক বছর থাকে, তাহলে তার উপর যাকাত ফরয। যেমন-
১. মুসলমান হওয়া
২. বালেগ হওয়া
৩. জ্ঞানবান হওয়া
৪. স্বাধীন হওয়া
৫. নিছাবের মালিক হওয়া
৬. পূর্ণ নিছাবের মালিক হওয়া
৭. নিছাব করজমুক্ত হওয়া
৮. নিছাব পরিমাণ মাল নিজ প্রয়োজনীয় মালের অতিরিক্ত হওয়া
৯. নিছাবের মালের বৎসর পূর্ণ হওয়া। (ফতওয়ায়ে আলমগীরি, আইনুল হেদায়া, বাহরুর রায়েক, ফতওয়ায়ে আমিনীয়া)

আসছে বাংলাদেশ-শ্রীলংকা পূর্ণাঙ্গ সিরিজ (omar faruk)

স্পোর্টস ডেস্ক: গত বোর্ড সভায় বিসিবির পরিচালনা পরিষদের মিটিং এ ২০১৬-১৭ মৌসুমে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া ক্রিকেট লিগের দিনপঞ্জির অনুমোদন দেয়া হয়। দিনপঞ্জি অনুযায়ী, বাংলাদেশ শ্রীলংকার সাথে পূর্ণাজ্ঞ সিরিজ খেলতে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারীতে শ্রীলংকা যাবে।
সেখান উল্লেখ করা হয়েছে, ফেব্রুয়ারী মাসের প্রথম সপ্তাহে ভারতের সাথে একমাত্র টেস্ট খেলার কথা রয়েছে বাংলাদেশের। এরপর ৮ ফেব্রুয়ারী থেকে ৭ মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশের শ্রীলংকা সফর হবে। তবে সিরিজের প্রস্তাবটা শ্রীলংকাই দিয়েছিলো। তাই ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রাম (এফটিপি) এর বাহিরে বাড়তি সিরিজ যুক্ত হওয়ায় খুশি বিসিবি।
শ্রীলংকা সূচী অনুযায়ী দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ফেব্রুয়ারীতে ফেরার কথা। তারপর এফটিপি অনুযায়ী মে পর্যন্ত তাদের কোনো সিরিজ নেই।
অন্যদিকে নিউ জিল্যান্ড থেকে জানুয়ারী মাসে ফিরবে বাংলাদেশ। এরপর ফেব্রুয়ারীর প্রথম সপ্তাহে ভারতের সাথে একমাত্র টেস্ট। তারপর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত বাংলাদেশের কোনো সিরিজ নেই।
তাই, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ও শ্রীলংকান ক্রিকেট বোর্ড (এসসিবি) দুইদলের এই শূন্য স্থানে একটি সিরিজ আয়োজন করতে চাইছে। যদিও শ্রীলংকার সাথে এই সিরিজটি এই বছরের ফেব্রুয়ারী-মার্চে হবার কথা ছিল। সিরিজটিতে থাকবে ২ টি টেস্ট, ৩ টি একদিনের ম্যাচ ও ২ টি টি-টুয়েন্টি ম্যাচ। যেহেতু শ্রীলংকা বাংলাদেশের সাথে সব ফরমেটেই এগিয়ে আছে, তাই এই সিরিজটি বাংলাদেশের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ হবে।
অন্যদিকে আবার এফটিপি অনুসারে ২০১৮ সালে বাংলাদেশের মাটিতে এই দুই দলের সিরিজ হবার কথা আছে।
শ্রীলংকার এই প্রস্তাবে বিসিবিকে শুধু একটি বিষয় নিয়েই চিন্তা করতে হচ্ছে, সেটা হলো ভারতের সাথে একমাত্র টেস্ট। ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড এখনো সেই টেস্টের নিশ্চিত তারিখ জানায় নি। বিসিবি এখনো তাদের জন্য অপেক্ষা করছে। তাদের কাছ থেকে সেই টেস্টের নিশ্চিত তারিখ পেলেই শ্রীলংকান ক্রিকেট বোর্ডকে সবুজ সংকেত দিবে বিসিবি।

জিবিসির আয়োজিত ঢাকাস্থ ছয়ানীর ইফতার মাহফিল ও মিলনমেলা সফলভাবে সম্পন্ন হলো। ( ওমর ফারুক)

আলহামদুলিল্লাহ,
 জিবিসির আয়োজিত ঢাকাস্থ ছয়ানীর ইফতার মাহফিল ও মিলনমেলা সফলভাবে সম্পন্ন হলো।
Pro Active Hall, Paltan বিকাল ৪:০০ টায় আরম্ভ হয় মুলকার্যক্রম, শেষ হয় ইফতার পর।
বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ অনলাইন ভিত্তিক সামাজিক সংঘঠনের ইফতার মাহফিলে  উপস্থিত ছিলেন জিবিসির সম্মানিত এডমিন প্যানেলের
 প্রধান ইঞ্জিনিয়ার জাহিদ হোসাইন,জনাব  ডা: মাজহারুল ইসলাম দোলন,জনাব  হারুনুর রশিদ, জনাব জাহাঙ্গীর হোসাইন (এডমিন), জনাব রইস উদ্দিন, জনাব নিজাম উদ্দিন চৌধুরী, জনাব মো: জাকের হোসাইন, (এডমিন) জনাব আলী আশ্রাফ, ও GBC  নতুন - পুরাতন মেম্বার বৃন্দ সহ অনেকে।

Thursday, June 23, 2016

মাত্র ১লাখ টাকা হলেই বেঁচে যাবেন চবির মেধাবী ছাত্র নোয়াখালীর দাউদ! (omar Faruk)

প্রকাশ: ২৪/৬/২০১৬
দাউদ নবীর বয়স মাত্র ২১। নোয়াখালীর সুবর্ণচরে তার জন্ম। ছোট বেলা থেকেই চরম দারিদ্রের সঙ্গে যুদ্ধ করে পড়াশোনা চালিয়ে আসছেন। কিন্তু এইচএসসি পরীক্ষার সময় বাতজ্বরে আক্রান্ত হন দাউদ। তারপরও দমে যাননি মেধাবী এ শিক্ষার্থী। এইচএসসিতে মেধার স্বাক্ষর রেখে ভর্তি হয়েছেন চট্ট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। ফিন্যান্স এণ্ড ব্যাংকিং বিভাগে বর্তমানে চতুর্থ বর্ষে পড়ছেন তিনি। স্বপ্ন দেখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার। বিভাগে তিনি মেধার স্বাক্ষর রেখে চলেছেন। তৃতীয় বষের্র ফলাফলসহ সমন্বিত ফলাফলে দাউদ তৃতীয় হয়েছেন। কিন্তু বাত জ্বরই তার স্বপ্নের সামনে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
গত কয়েক মাসে তার শারীরিক অবস্থার ব্যাপক অবনতি ঘটেছে। চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে ভারতে নেওয়া হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ভালো মানের চিকিৎসা সেবা দিতে না পারলে তাকে  বাঁচানো সম্ভব হবে না। কিন্তু স্বপ্নবাজ দাউদ নবী বাঁচতে চান। ইতোমধ্যে তার বন্ধু ও এলাকার লোকজন প্রায় লক্ষাধিক টাকা জোগাড় করেছেন। আর মাত্র এক লাখ টাকা হলেই দাউদের চিকিৎসা চলবে। কিন্তু তার দরিদ্র পরিবারের পক্ষে এত টাকা দেওয়া সম্ভব নয়। এ জন্য সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন তার পরিবার। সহযোগিতার জন্য বিকাশ নম্বর-০১৮১৬-৫৫৭৫৮৩। চবি প্রতিনিধি(সমকাল থেকে)।

রোজা রেখেও ত্বকে ধরে রাখুন লাবণ্য।( Omar faruk)

গরমের সময় ত্বকের রুক্ষতা অনেক বেশি বৃদ্ধি পায়। আবার রোদের প্রকোপ এবং ধুলোবালির জন্য ত্বকের অনেক সমস্যা পোহাতে হয় অনেককেই। আর এখন চলছে রোজার মাস, এই গরমের রোজায় সারাদিন পানি পান করতে না পারার কারণে ত্বকের রুক্ষতা আরও কয়েকগুণ বেড়ে যায়। এই সমস্যা থেকে মুক্তির খুবই সহজ কিছু উপায় রয়েছে। নিম্নে তা আলোচনা করা হল-
১.প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। রোজার সবচাইতে বড় সমস্যা হল দেহে পানিশূন্যতা। পানিশূন্যতার কারণে ত্বকের উপর বিরূপ প্রভাব পড়তে শুরু করে। ত্বক রুক্ষ হয়ে যায় এবং ত্বক ফেটে যাওয়ার সমস্যাতেও পড়েন অনেকে। তাই প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন ইফতারের পর থেকেই। পুরো দিনের ক্ষতি পুষিয়ে নিন ভালো করে।
২. নিয়মিত ত্বক স্ক্রাব করুন। রুক্ষ হয়ে যাওয়া ত্বক এবং অতিরিক্ত রোদ ও গরমের কারণে ত্বকের উপরে কোষ মরে যায় বেশি, এর ফলে আরও বেশি কালচে হয়ে উঠে ত্বক। এবং ত্বকের নানা সমস্যাও দেখা যায়। তাই ত্বক নিয়মিত স্ক্রাব করে নিন।
৩. সারাদিনে ২ বার অবশ্যই ত্বক ভালো করে পরিষ্কার করে নেবেন। সকালে ঘুম থেকে উঠে ভালো করে ত্বক পরিষ্কার করে নিন এবং অবশ্যই বাসায় ফেরার পর ত্বক ভালো করে ক্লিনজার ব্যবহার করে ধুয়ে ফেলবেন। মোট কথা ত্বকে কোনো ধরণের ময়লা জমতে দেয়া যাবে না।
৪. সাথে সব সময় ছাতা, স্কার্ফ, ক্যাপ এবং ওয়েট টিস্যু রাখুন। এতে রোদের হাত থেকে রক্ষা পাবেন এবং সেই সাথে রোদে পোড়ার হাত থেকেও ত্বককে বাঁচাতে পারবেন। এছাড়াও ওয়েট টিস্যুর ব্যবহার ত্বকের উপরের ময়লা নিমেষেই দূর করে দিতে পারবেন।
৫. রাতে ঘুমুতে যাওয়ার আগে দুধে একটি তুলার বল ভিজিয়ে ত্বকের উপরে বুলিয়ে নিন। এরপর এভাবেই ঘুমিয়ে পড়ুন। এতে ত্বক ময়েশ্চারাইজ হয়ে যাবে ভালো করেই। এবং রোজার রুক্ষতা ত্বক থেকে দূর করে দিতে পারবেন অনায়েসেই।
৬. ইফাতারিতে তেলেভাজা খাবার বেশি খাওয়া হয়। কিন্তু চেষ্টা করুন অতিরিক্ত তেলেভাজা খাবার না খেতে। প্রচুর পরিমাণে ফল এবং শসা খান রোজায়। এতে ত্বক ভালো থাকবে সুস্থ থাকবে। এই রোজাতেও ত্বকে লাবণ্য ধরে রাখতে পারবেন।
সুত্র: বোল্ড স্কাই।

কি কি কারণে কম বয়সে দাড়ি পাকে ও লাল হয় ? দাড়ি পাকা রোধে কি কি করণীয়, (ওমর ফারুক)

আজকাল দেখা যায় অনেকেরই অল্প বয়সে চুল সাদা হয়ে যায়। আর এই সাদা চুল নিয়ে বিপাকে পড়ে যান কেউ কেউ। কারণ চুল সাদা হলে বয়সের ছাপটা যেন একটু বেশি বোঝা যায়। সেইসঙ্গে নিজের ব্যক্তিত্ব খানিকটা ম্লান হয়ে পড়ে। সাধারণত বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চুল সাদা হয়। কিন্তু অল্প বয়সে কালো চুল সাদা হয়ে যাওয়াটা স্বাভাবিক নয়।
কিন্তু আমাদের দেশে এখন অনেক কম বয়সী নারী-পুরুষেরই চুল পাকার সমস্যা দেখা যাচ্ছে। অল্প বয়সে চুল পাকার জন্য কিছু জিনিসতো অবশ্যই দায়ী। এসবের মধ্যে ঘুম কম হওয়া, নিম্ন মানের হেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহার করা, অত্যাধিক পরিমাণে চুলে রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার, চুলের নিয়মিত যত্ন না নেয়া, তেলে ভাজাপোড়াসহ ফাস্টফুড জাতীয় খাবার বেশি খাওয়া, অতিরিক্ত চা কিংবা কফি খাওয়া, পুষ্টিকর খাবারের অভাব, বংশগত বা হরমোনের কারণে, অতিরিক্ত চিন্তা, চুল অতিরিক্ত ড্রাই করা, পানি দূষিত হওয়া, চুলে খুব বেশি রোদর তাপ লাগা প্রধান কারণ। তবে হতাশ না হয়ে একটু সচেতন হলে অল্প বয়সে কাচা চুল সাদা হওয়া থেকে প্রতিরোধ করা যায়। চুল সাদা হওয়া প্রতিষেধকের চেয়ে প্রতিরোধ উত্তম।
চুল পাকা থেকে মুক্তির পাওয়ার কিছু উপায় :-
হরতকি ও মেহেদী পাতার সঙ্গে নারিকেল তেল দিয়ে ফুটিয়ে ঠাণ্ডা করে চুলে লাগিয়ে ২ ঘণ্টা পরে ধুয়ে ফেলতে হবে।
আমলকির রস, বাদামের তেল ও লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে সপ্তাহে কমপক্ষে দুই থেকে তিন দিন চুলে লাগালে চুল পাকা কমে যায়।
নারিকেল তেল গরম করে মাথার তালুতে ভালো করে ম্যাসেজ করলে চুলের প্রয়োজনীয় পুষ্টির সঙ্গে সঙ্গে চুল সাদা হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাবে।
চুল সাদা হওয়ার শুরুতে হেনা, ডিমের কুসুম ও টক দই একসঙ্গে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে চুলে লাগালে চুল সাদা হওয়া কমে যাবে। হেনা ব্যবহারে শুধু চুল সাদা হওয়া থেকে রক্ষা করবে না সেই সঙ্গে সাদা চুলে কালো রঙে ফিরে আসবে।
চুলে যেন সরাসরি রোদ না লাগে সেজন্য বাইরে বের হলে ছাতা, ক্যাপ দিয়ে চুল ঢেকে রাখা জরুরি।
চুলের ধরণ অনুযায়ী নিয়মিত ভালো ব্রান্ডের শ্যাশ্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। চুলের ক্রিম, জেল, কালার, শ্যাম্পু, কন্ডিশনার ব্যবহারের ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
চুলের নিজস্ব রঙ ধরে রাখতে মাঝে মাঝে চায়ের ঘন লিকার ব্যবহার করতে পারেন।
চুলে খুশুকি হলে শুরুতেই সাবধান হতে হবে। অতিরিক্ত খুশকির কারণে চুল সাদা হয়ে যায়।
ধুমপান পরিহার করে নিয়মিত পানি, ফলমূল, রঙিন শাকসবজি ও পুষ্টিকর খাবার খান।

রোজা রেখেও ত্বকে ধরে রাখুন লাবণ্য, ( ওমর ফারুক)

গরমের সময় ত্বকের রুক্ষতা অনেক বেশি বৃদ্ধি পায়। আবার রোদের প্রকোপ এবং ধুলোবালির জন্য ত্বকের অনেক সমস্যা পোহাতে হয় অনেককেই। আর এখন চলছে রোজার মাস, এই গরমের রোজায় সারাদিন পানি পান করতে না পারার কারণে ত্বকের রুক্ষতা আরও কয়েকগুণ বেড়ে যায়। এই সমস্যা থেকে মুক্তির খুবই সহজ কিছু উপায় রয়েছে। নিম্নে তা আলোচনা করা হল-
১.প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। রোজার সবচাইতে বড় সমস্যা হল দেহে পানিশূন্যতা। পানিশূন্যতার কারণে ত্বকের উপর বিরূপ প্রভাব পড়তে শুরু করে। ত্বক রুক্ষ হয়ে যায় এবং ত্বক ফেটে যাওয়ার সমস্যাতেও পড়েন অনেকে। তাই প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন ইফতারের পর থেকেই। পুরো দিনের ক্ষতি পুষিয়ে নিন ভালো করে।
২. নিয়মিত ত্বক স্ক্রাব করুন। রুক্ষ হয়ে যাওয়া ত্বক এবং অতিরিক্ত রোদ ও গরমের কারণে ত্বকের উপরে কোষ মরে যায় বেশি, এর ফলে আরও বেশি কালচে হয়ে উঠে ত্বক। এবং ত্বকের নানা সমস্যাও দেখা যায়। তাই ত্বক নিয়মিত স্ক্রাব করে নিন।
৩. সারাদিনে ২ বার অবশ্যই ত্বক ভালো করে পরিষ্কার করে নেবেন। সকালে ঘুম থেকে উঠে ভালো করে ত্বক পরিষ্কার করে নিন এবং অবশ্যই বাসায় ফেরার পর ত্বক ভালো করে ক্লিনজার ব্যবহার করে ধুয়ে ফেলবেন। মোট কথা ত্বকে কোনো ধরণের ময়লা জমতে দেয়া যাবে না।
৪. সাথে সব সময় ছাতা, স্কার্ফ, ক্যাপ এবং ওয়েট টিস্যু রাখুন। এতে রোদের হাত থেকে রক্ষা পাবেন এবং সেই সাথে রোদে পোড়ার হাত থেকেও ত্বককে বাঁচাতে পারবেন। এছাড়াও ওয়েট টিস্যুর ব্যবহার ত্বকের উপরের ময়লা নিমেষেই দূর করে দিতে পারবেন।
৫. রাতে ঘুমুতে যাওয়ার আগে দুধে একটি তুলার বল ভিজিয়ে ত্বকের উপরে বুলিয়ে নিন। এরপর এভাবেই ঘুমিয়ে পড়ুন। এতে ত্বক ময়েশ্চারাইজ হয়ে যাবে ভালো করেই। এবং রোজার রুক্ষতা ত্বক থেকে দূর করে দিতে পারবেন অনায়েসেই।
৬. ইফাতারিতে তেলেভাজা খাবার বেশি খাওয়া হয়। কিন্তু চেষ্টা করুন অতিরিক্ত তেলেভাজা খাবার না খেতে। প্রচুর পরিমাণে ফল এবং শসা খান রোজায়। এতে ত্বক ভালো থাকবে সুস্থ থাকবে। এই রোজাতেও ত্বকে লাবণ্য ধরে রাখতে পারবেন।
সুত্র: বোল্ড স্কাই।

‘আ’লীগ গণতন্ত্রকে সুরক্ষিত করেছে’ (ওমর ফারুক)

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘কিছু তো থাকে, সবসময় ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। সব ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছে, সুরক্ষিত করেছে, আর্থ সামাজিক উন্নয়নের পথে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে ।’
আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) দশম জাতীয় সংসদেও বাজেট অধিবেশনে সংসদে দেয়া অনির্ধারিত বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী ওইসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদবিরোধী কার্যক্রম গ্রহণ করেছি। সরকারও একই কর্মসূচি পালন করছে। বাংলাদেশে যাতে শান্তিপূর্ণ অবস্থা বিরাজ করে, সেই পরিবেশ আমরা সৃষ্টি করছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এদেশের মানুষ যতটুকু পেয়েছে আওয়ামী লীগ যখন সরকারে এসেছে তখনই পেয়েছে। তা ছাড়া সবসময় জনগণ বঞ্চিত হয়েছে। স্বাধীনতার পর মাত্র সাড়ে তিনবছর ক্ষমতায় বঙ্গবন্ধু এই দেশকে গড়ে তুলেছেন। আজকে আমরা আমাদের প্রবৃদ্ধি ৭ ভাগ অর্জিত হয়েছে বলি। ৭ ভাগ কিন্তু জাতির পিতার আমলেই প্রথম অর্জন করা সম্ভব হয়েছিল। এরপর আর পারেনি। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যারা ক্ষমতায় এসেছিল, তারা বছরের পর বছর দেশ শাসন করেছে, দেশকে পিছিয়ে নেয়াই যেন ছিল তাদের একমাত্র লক্ষ্য।
শেখ হাসিনা বলেন, ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে। ১৯৯৬ থেকে ২০০০ সাল সময়টা ছিল বাংলাদেশের জন্য স্বর্ণযুগ। বাংলাদেশের মানুষ প্রথম উপলব্ধি করে সরকার জনগণের সেবক। পরবর্তীতে ষড়যন্ত্র করে আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে হারিয়ে দেয়া হয় তারপর ৭ বছর আওয়ামী লীগের ওপর একাত্তরের মতো গণহত্যা চালানো হয়।
সকালে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠকের শুরুতে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতাবার্ষিকী উপলক্ষে অনির্ধারিত আলোচনার সূচনা করেন শিল্পমন্ত্রী আমীর হোসেন আমু। এরপরই প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য দেন।

অবশেষে বল হাতে নিলেন মুস্তাফিজুর, Omar Faruk

স্পোর্টস ডেস্ক: ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ-আইপিএল থেকে ফেরার পর পুনর্বাসনে ছিলেন কাটার মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমান। অবশেষে বল হাতে নিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার নেটে বোলিং করেছেন হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট কাটাতে পুনর্বাসনে থাকা বাঁহাতি এই পেসার।
এদিন সকালে মিরপুরে একাডেমির নেটে বিসিবির হাই পারফরম্যান্স রিহ্যাবিলিটেশন ম্যানেজার ব্রেট হ্যারপের তত্ত্বাবধানে ৬ ওভার বোলিং করেছেন মুস্তাফিজ।
বোলিংয়ে ফেরা নিয়ে অবশ্য মুস্তাফিজ বা হ্যারপ সংবাদমাধ্যমের সামনে কথা বলেননি। তবে বিসিবির একটি সূত্র জানিয়েছে, আপাতত ৮০ ভাগের মতো ফিট মুস্তাফিজ। এখন থেকে আগামী কিছুদিন নেটে বোলিং করবেন এক দিন করে বিরতি দিয়ে।

গত মাসের শেষ দিকে আইপিএল থেকে হ্যামস্ট্রিংয়ের এই চোট নিয়ে ফিরেছেন মুস্তাফিজ। সাসেক্সের হয়ে ইংল্যান্ডে খেলার চুক্তি ছিল তার। কিন্তু যেতে পারেননি এই চোটের কারণেই